জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন হতে হবে  

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বেড়ে যাচ্ছে উষ্ণতা, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এমনকি মোবাইল ফোনে উচ্চমাত্রার (হাই ডেফিনিশন) ভিডিও দেখা বন্ধ করার মধ্য দিয়েও বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের হার কমানো সম্ভব, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

মোবাইল ফোনে সাধারণ মানের (স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি) ভিডিও দেখলে যে পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ ঘটে উচ্চ মাত্রার ভিডিও দেখলে তার থেকে অধিক পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ ঘটে। গবেষকদের মতে ছোট পর্দায় এই দুইয়ের মধ্যে তেমন কোনও পার্থক্যই বোঝা যায় না। তাই মোবাইল ফোনে সাধারণ মানের (স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি) ভিডিও দেখা উচিত।

অনেকে গান শোনার সময় ভিডিও না দেখলেও তা চালিয়ে রাখেন। কিন্তু এই সময় শুধু মিউজিক চালালে অতিরিক্ত শক্তি খরচ রোধ করা সম্ভব হবে, অপ্রয়োজনীয় কার্বন নিঃসরণ ঘটবে না। এই সব ছোট-খাটো ব্যাপারে সচেতন হওয়ার মধ্যদিয়ে স্ট্রিমিং সার্ভিস যেমন ইউটিউব প্রভৃতির সার্ভার থেকে কার্বন  নিঃসরণ ৫% কমানো সম্ভব।

গবেষকদের মতে, মোবাইল ফোন বা যে কোনও ডিজিটাল ডিভাইস ঘনঘন পরিবর্তন না করে দীর্ঘদিন সেটি ব্যবহারের মধ্যদিয়েও কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব। কারণ একটি মোবাইল ফোন বা যে কোনও ডিজিটাল ডিভাইস তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বন নিঃসরিত হয় এবং সেগুলি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার পরে পরিবেশ দূষণ ঘটায়। তাই ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইস ক্রয় করে পুনঃ ব্যবহারের মধ্যদিয়েও কার্বন হ্রাসে অবদান রাখা যেতে পারে।

ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর অ্যান্ডি হোপার বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় আমাদের সচেতন থাকা উচিত এবং মনে রাখা উচিত এটি নানা ভাবে পরিবেশ দূষণ করে থাকে।”

গবেষণার সহযোগী লেখক ইস্ট এঙ্গলিয়া বলেন, “হয়তো ডিজিটাল প্রযুক্তির ফলে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ এখনও তুলনামূলক ভাবে অন্য খাতগুলির থেকে কম। তবে প্রত্যেক বিন্দু কার্বনই পরিবেশকে দূষিত করছে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রযুক্তির বিপ্লব এবং জলবায়ু সংরক্ষণের বিপ্লব একসঙ্গে ঘটাতে হবে। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষায় আমরা সচেতন নই।” 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের মোট কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের ১.৪ থেকে ৫.৯ শতাংশের জন্য ডিজিটাল টেকনোলোজি দায়ী। তথ্যসূত্র: বিবিসি।

 

টাইমস/এনজে

Share this news on: